বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৬৭৭ জন, উদ্ধার অস্ত্র ও গোলাবারুদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ! ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক!! “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে “ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র: ‘আমরা কোনো দলের নয়’ — স্পষ্ট বার্তা দিলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বিজয়নগরে জাপা কার্যালয়ে সংঘর্ষ : ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত বহু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপির বৈঠক ১৩ বছর পর উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক

লাখো অবৈধ অভিবাসী ‘খেদাও’ আতঙ্কে আছেন!

bornomalanews
  • Update Time : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৩ Time View

বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের মাঝে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম বড় নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।এ নিয়ে তিনি প্রায় প্রতিটি সমাবেশেই বক্তব্য দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই বন্ধ হবে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে তাদের ‘খেদিয়ে’ আবারও ট্রাম্প আমেরিকাকে মহান করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিজয়ের পরও তিনি সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেননি। ৭ নভেম্বর এনবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যাদের থাকার বৈধ অনুমতি নেই এমন মানুষকে খেদানো ছাড়া প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সত্যিই কোনো বিকল্প নেই।’ এতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা খেদাও আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ইতোমধ্যে স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করছেন বলে জানা গেছে।

ট্রাম্পের রানিংমেট জে ডি ভ্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০ লাখ অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশি কূটনীতিক ডেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে বলতে পারেন। এ কাজে তিনি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোর নেতাদেরও সহযোগিতা নিতে পারেন। এমনকি যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনি বিধিনিষেধ আছে, সেখানকার তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপও নিতে পারেন।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলছেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় এবারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে আরও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে, অন্য দেশ বিতাড়িত অভিবাসী গ্রহণ করবে কিনা।

আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জে ডি ভ্যান্স। ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রচারাভিযানের অফিশিয়াল সাইটে পোস্ট করা জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বন্ধের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের এক দিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।

খসড়া ওই নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেই কোনো শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। সন্তানের বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে বা থাকতে হবে গ্রিনকার্ড। তবেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারবে। এ কারণে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার আর সুযোগ পাচ্ছে না।

এ অবস্থায় অন্যান্য দেশের পাশাপাশি দুশ্চিন্তায় রয়েছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশি দম্পতি। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বৈধতার জন্য আইনি লড়াই করা অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার।

২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। তাদের মধ্যে ১৬ লাখেরই জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্পের নতুন নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন বা তাদের গ্রিনকার্ড নেই।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনি প্রচারজুড়ে ট্রাম্প অভিবাসীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য অব্যাহত রাখেন। প্রচারাভিযানে বারবার তিনি উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন। তিনি অভিবাসীদের হিংসাÍক অপরাধে ইন্ধন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তাদের তিনি ‘পশু’ বলেও অভিহিত করেছেন। এপ্রিলে মিশিগানে ও উইসকনসিনের গ্রিন বের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ‘পশু’ ও ‘অমানুষ’ বলে উল্লেখ করেন।

উইসকনসিনে সেপ্টেম্বরে আরেক সমাবেশে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘অভিবাসী খেদাও’ অভিযান শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি অভিবাসীদের আমেরিকা ছাড়া করার এ অভিযানকে ‘ব্লাডি স্টোরি’ বলে উল্লেখ করে প্রয়োজনে নতুন করে বন্দিশিবির নির্মাণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেননি। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন অবশ্য তেমন বেশি সংখ্যক বন্দিশিবির নির্মাণেরও প্রয়োজন হবে না। কারণ খুব দ্রুতই তাদের আমেরিকা থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102