ভালোবাসা কী- এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা-বিতর্ক রয়েছে। রয়েছে এর রকমফেরও। তবে এর বেশকিছু ইতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক দিকও রয়েছে। চলুন জেনে নিউ তেমনই কিছু বিষয়।
১. সত্যিকারের ভালোবাসা: মনোবিজ্ঞান বলছে, যখন সত্যিকার অর্থে কারো প্রেমে পড়বেন বা মন থেকে কাউকে ভালোবাসে তখন আপনার সবচেয়ে বেশি সুখ অনুভূত হবে৷ কারণ এই সময় আপনার মস্তিষ্ক থেকে এম্পডিয়া ও ডোপামিন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। যা আপনার মস্তিষ্কের ১২ জায়গায় প্রবাহিত হয়ে আপনাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখের অনুভূতি দিবে৷
২. ভালোবাসার প্রকাশ: ইম্প্রেশনকে ভালোবাসার প্রথম ও শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হয়। কাউকে পছন্দ করতে বা অপছন্দ করতে একজন মানুষের মস্তিষ্ক মাত্র ৪ মিনিট সময় নেয়। তাই আপনি কারো সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করতে প্রথম ৪ মিনিটের মধ্যে খুব চমৎকারভাবে তার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করুন।
৩. ভালোবাসায় আলিঙ্গন: মনোবিজ্ঞান বলছে, ভালোবাসার মনুষের হাগ কিংবা আলিঙ্গন আপনার নার্ভাস সিস্টেমে পেইন কিলার হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার সঙ্গী কিংবা বন্ধুর মন খারাপ দেখলে তার সাথে আলিঙ্গন করতে ভুলবেন না।
৪. রাগ-অভিমান: ভালোবাসার মনোবিজ্ঞান বলছে, কারো ছোটখাটো কোন বিষয়ে রাগ করলে কিংবা মন খারাপ হয় তাহলে বুঝতে হবে তার জীবনে ভালোবাসার ঘাটতি রয়েছে। অল্পতেই রাগান্বিত হয় কিংবা অল্পতে গোস্সা হয় এ ধরনের মানুষকে বেশি বেশি করে ভালোবাসুন। দেখবেন তার মধ্যে একটা পরিবর্তন কাজ করছে।
৫. সুন্দর মুখ: ভালোবাসার মনোবিজ্ঞান বলছে, খুব সুন্দর মুখাবয়ব একটি আকর্ষণীয় বডি ফিটনেস এর থেকে বেশি আকর্ষিত করে। সুতরাং পরবর্তীতে কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে মুখে অবশ্যই একটি মিষ্টি হাসি রাখবেন যেন প্রথম সাক্ষাতেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারেন৷
৬. আই-লাভ-ইউ: ভালোবাসা সম্পর্কে এটা জেনে আপনার অবাক লাগতে পারে যে, প্রায় ৯০ শতাংশ পুরুষ প্রথম আই লাভ ইউ বলে প্রপোজ করে। রিসার্চ থেকে পাওয়া গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা প্রথমে তাদের ভালোলাগার কথা প্রকাশ করে। আরেকটি মজার তথ্য হলো, নভেম্বর মাসে আই লাভ ইউ কথাটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়।
৭. ভালোবাসা+ভালোবাসা=সুখী জীবন: যখন আপনি রোমান্টিক মুডে থাকেন তখন আপনার মস্তিষ্ক কম কাজ করে৷ মনোবিজ্ঞান বলছে, যিনি রোমান্টিক রিলেশনশিপ মেইন্টেইন করেছেন তিনি অনেক সুখি জীবন পার করেছেন। ডিপ্রেশন কিংবা হার্ট অ্যাটাক এর মত রোগ এই ধরনের মানুষের ধারেকাছেও আসতে পারে না, এটাই ভালোবাসার যাদু!