সর্বশেষ মূল্য বৃদ্ধিতে ভারিত গড়ে ৮.৫% বাড়লেও উঁচু স্ল্যাবে বিল হয় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়লে হু হু করে বিল বাড়ে। তাছাড়া এক বছরে ডিমান্ড চার্জ বেড়েছে ২০% পর্যন্ত।
নির্মাণ শ্রেণির একটি প্রিপেইড মিটারে গত মে মাসে ৩ হাজার টাকা রিচার্জ করেছিলেন মনিরুল ইসলাম। রশিদ দেখে চোখ কপালে ওঠে তার, বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে ব্যালেন্স (এনার্জি) পেয়েছেন মাত্র ৩৩৩ টাকা ৫৫ পয়সা!
বাদ বাকি টাকা থেকে দুই মাসের ডিমান্ড চার্জ বাবদ ১৬৮০ টাকা, ভ্যাট হিসাবে ১৪২ টাকা ৮৬ পয়সা কাটা হয়েছে। তিনি রিবেট বা ছাড় পেয়েছেন ১৪ টাকা ২১ পয়সা।
যোগবিয়োগের এই অংক মেলানো কঠিন ঠেকছিল মনিরুলের কাছে। ফোন দিলেন ডেসকোর (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি) হটলাইনে, সেখান থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো তাতে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ক্ষোভ দেখিয়ে ফোন রেখে দিলেন।
মনিরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, “আগে কম কিলোওয়াটের একটি মিটার বসিয়েছিলাম। সেটা কিছুদিনের মধ্যে আর লোড নিচ্ছিল না। পরে তাদের কথামত ৭ কিলোওয়াটের মিটার বসাতে হয়েছে।
“তারপর মে মাসে ৩ হাজার টাকা লোড করে পেলাম মাত্র ৩৩৩ টাকা। তারা যে কী দিয়ে কী বুঝ দিল- কিছুই বুঝতে পারলাম না।”
ডেসকোর পোর্টালে মনিরুলের হিসাবে দেখা যায়, মে মাসের ২ তারিখে তিনি তিন হাজার টাকা রিচার্জ করেছেন। এর আগে তিনি মার্চ মাসের ১৫ তারিখে ৩ হাজার টাকা রিচার্জ করলেও এপ্রিলে রিচার্জ করেননি। ফলে মে মাসে এসে দুই মাসের ডিমান্ড চার্জ বাবদ ১৬৮০ টাকা কাটা পড়ে।
আগের মাসের বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ বাবদ বাদ যায় ৮৫৭ টাকা। এর বাইরে ৫ শতাংশ হারে ১৪২ টাকা ভ্যাট কাটা হয়। সবকিছু বাদ দিয়ে তিনি এনার্জি ব্যালেন্স পেয়েছেন ৩৩৩ টাকা ৫৫ পয়সা।
ডিমান্ড চার্জ কী
বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গ্রাহক যখন মিটারের জন্য আবেদন করেন, তখন তাকে সর্বোচ্চ লোড বা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সীমা ঠিক করতে হয়। গ্রাহকের চাহিদা মত লোড সরবরাহ করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয় বিতরণকারী কোম্পানিকে। এজন্য ওই কোম্পানি প্রতি কিলোওয়াট লোডে কত মাশুল নিতে পারবে তা ঠিক করে দেয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
গ্রাহকের চাহিদা মত সর্বোচ্চ লোডের সঙ্গে ওই মাশুল গুণ করে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ আদায় করে বিতরণকারী কোম্পানি। যেমন- নিম্নচাপের নির্মাণ শ্রেণির গ্রাহকের জন্য প্রতি কিলোওয়াটের ডিমান্ড চার্জ ১২০ টাকা। মনিরুল ৭ কিলোওয়াটের মিটার ব্যবহার করায় তাকে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ বাবদ ৮৪০ টাকা (৭×১২০) গুনতে হচ্ছে।
পল্লবী এলাকায় ডেসকোর কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, “লোড বাড়ানো, আগের মাসের বকেয়া বা অন্যান্য কোনো বকেয়া থাকলে সেটা অ্যাডজাস্ট হিসাবে বাদ যায়।”
আসলেই ভূতুড়ে বিল?
মিরপুরের পল্লবীর বাসিন্দা জহির উদ্দিনের বাসায় মার্চ মাসে ১১০ ইউনিট খরচের জন্য বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১০২০ টাকা। এপ্রিল মাসে গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এপ্রিলে ২০৬ ইউনিট খরচ দেখিয়ে বিল করা হয় ১৬৭২ টাকা।
তবে মে মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে একেবারেই ভেঙে পড়েন ডেসকোর এই পোস্টপেইড গ্রাহক। ৭ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে একই মিটারে ৭৪৭ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ দেখানো হয়। ফলে ওই মাসে ৮ হাজার ১৭৯ টাকা বিল গুনতে হয় তাকে।
ছয় সদস্যের এই বাসার বাসিন্দারা জানান, তাদের বাসায় বিদ্যুৎচালিত বড় যন্ত্রের মধ্যে দেড় টনের দুটি এসি, একটি ফ্রিজ, তিনটি সিলিং ফ্যান আগে থেকেই সচল ছিল। মে মাসে গরম বাড়লেও বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি ঠেকছে।
অভিযোগ পেয়ে পল্লবীতে জহিরের বাসায় গিয়ে মিটার পরীক্ষা করে দেখেন ডেসকোর কারিগরি দল। তারা সিদ্ধান্ত দেন, মিটারে কারিগরি কোনো ত্রুটি নেই।
তাদের ধারণা, গরমে এসি ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করে যদি মিটারের লোড প্রান্তে নিজস্ব বিদ্যুৎ লাইন জুড়ে দেন, সেক্ষেত্রেও বিল বেশি আসতে পারে।
যেহেতু মিটারে কোনো ‘কারিগরি ত্রুটি নেই’, সে কারণে বিদ্যুৎ খরচের কারণেই বিল বেশি এসেছে বলে মূল্যায়ন ডেসকোর কারিগরি দলের।
গত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত, ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও ছিল বেশি। জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে থাকায় চাহিদা আবার কমে আসতে শুরু করে।
সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ মার্চ বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াট, লোড শেডিংও ছিল প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট। ১৫ এপ্রিলও চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল, সেদিন উৎপাদন হয় প্রায় ১৩ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। ৩০ এপ্রিল চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে উঠেছিল, সেদিন উৎপাদন হয় প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
১৫ মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ১০০ মেগাওয়াট, সেদিন উৎপাদন হয় প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আর ৩০ মে চাহিদা কমে গিয়ে সাড়ে ১৪ হাজারে নেমে আসে, সেদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় চাহিদার কাছাকাছিই। গরমের বাকি সময়ে চাহিদা ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই ছিল।
হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। যে তিন মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকরা দুই থেকে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন, সেই সময় দেশের বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে।
ডেসকোর পল্লবী অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিলহাজ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তীব্র গরমের সময় মানুষ একটু স্বস্তি পেতে অনেক বেশি এসি ব্যবহার করেছে। এখন বড় অংকের বিল দেখে অনেকেই হতবাক হচ্ছেন।
“কারণ গরম বেশি বেড়ে গেলে এসির বিদ্যুৎ কনজাম্পশনও বেড়ে যায়। সে কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তারপরও কেউ সন্দেহ বা আপত্তি তুললে আমরা বাসায় গিয়ে মিটার রিডিং চেক দিয়ে আসছি।”
পল্লবীর জহিরের বাসার মতই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের বিলকে ‘ভূতুড়ে’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা চলছে সোশাল মিডিয়ায়। নির্ভুল গণনার ‘গ্যারান্টি থাকা’ প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহকরাও দুই থেকে তিনগুণ বিল দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
ঢাকার লেক সার্কাস রোডের ডিপিডিসির (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) একজন প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তাদের বিলের কোনো এসএমএস বা কাগজ আসেনি। এই সময়ের মধ্যে তারা নিজ উদ্যোগে পাঁচ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দিলেও জুলাই মাসের ৭ তারিখে এক এসএমএস পান। সেখানে আরও সাড়ে তিন হাজার টাকা বকেয়া দেখানো হয়।
“তাহলে আমাদের এই তিন মাসে আট হাজার টাকা বিল এসে গেল। অথচ আমাদের সাধারণত দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা মাসে খরচ হত। এই অনিয়মের দায় কার,” বলছিলেন ডিপিডিসি গ্রাহক তনুজা আকবর।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত এক বছর ধরে তনুজা আকবরের যে মোবাইল নম্বরে বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিলের তথ্য আসত, এই তিনমাসে সেই নম্বরে এসএমএস আসেনি। ওই মিটারটি এক বছর আগে যে গ্রাহক ব্যবহার করতেন, সেখানে এসএমএস যাওয়া শুরু করে। পরে আবার তনুজা আকবরের নম্বরেই এসএমএস আসে।
যোগাযোগ করা হলে ডিপিডিসির অভিযোগ কেন্দ্রর একজন কর্মী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই তিনমাসে আগের নম্বরটিকে বাসার মালিকের নম্বর হিসাবে বিবেচনা করে এসএমএস গেছে। মূলত এটি সাবেক ভাড়াটিয়ার নম্বর ছিল- এটি জানার পর তা ডিলিট করা হয়েছে। ফলে এরপর থেকে আর সমস্যা হবে না।”
বিল সর্বোচ্চ ১০০ টাকা বা তিনদিন বকেয়া পড়লে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে তিন হাজার টাকা বকেয়া দেখিয়েও সংযোগ কেন বিচ্ছিন্ন করা হল না?
এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিপিডিসির প্রতিনিধি বলেন, “বিল বকেয়া পড়লে লাইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবে সেটা যে কোনো সময় হতে পারে।”
গুলশানে ডেসকোর আঞ্চলিক অফিসে কথা হচ্ছিল এক প্রি-পেইড গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, কার্ড রিচার্জ করার পর তা মিটারের পাশে স্পর্শ করে ফল পাচ্ছেন না। দক্ষিণ বাড্ডা থেকে কার্ড নিয়ে তিনি চলে আসেন বিদ্যুৎ অফিসে।
সেখানে থেকে তাকে বলা হয়, কার্ডটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি পরিবর্তন করতে হবে। সেজন্য অনলাইনে আবেদন করে আসতে হবে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সমস্যার সমাধান পান গ্রাহক হাফিজ উদ্দিন।
এই অফিসের প্রধান প্রকৌশলী এসএম শাহ সুলতান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গরমের মওসুমে বিল নিয়ে অভিযোগের মাত্রা বেড়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আমরা লোক পাঠালে গ্রাহক বুঝ পেয়ে সন্তুষ্ট হন। শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে।
“এখন বিদ্যুতের ওপর দিককার স্ল্যাবগুলোতে বিল একটু বেড়েছে। আর এবার গরমের তীব্রতা বেশি হওয়ায় এসিতেও ব্যাপক বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে বিল বেশি এসেছে। এরপরও কোথাও অস্বাভাবিকতার অভিযোগ পেলে আমরা লোক পাঠিয়ে মিটার পরীক্ষা করে দেখছি। তেমন সমস্যা পাচ্ছি না।”
অভিযোগ গড়িয়েছে আদালতে
গত ১২ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসে বিদ্যুৎ বিভাগও।
গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “হাই কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটা কমিটি করেছি। কমিটি অভিযোগগুলোর বিষয়ে আদালতের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে আমরা এখনও বিল নিয়ে কোনো অসঙ্গতির আশঙ্কা করছি না।
“সব ঘটনা তদন্ত করে তারা দেখবে যে এখানে আদৌ কোনো কারিগরি ত্রুটি আছে কি না। কমিটি দ্রুতই প্রতিবেদন তৈরি করবে বলে আশা করছি।”
বিল বেশি কেন
হঠাৎ করে গ্রাহকের বিল বেশি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছু কিছু অভিযোগ আমরাও পাই। ক্রেতাদের বোঝার ভুল হয়, সেটা আমরা তাদের ক্লিয়ার করে দিই। অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে একদুইটা ভ্যালিড অভিযোগ যে থাকে না তা কিন্তু নয়। সেগুলো আমরা সমাধান করে দিই।
“এখানে বিষয় হচ্ছে গরমের সিজন আসার কারণে এবং বিদ্যুতের ট্যারিফ চেইঞ্জ হওয়ার কারণে বিল আগের চেয়ে কিছুটা বেশি আসে। সেটা কাস্টমারদের কাছে ভুল হিসাবে মনে হয়। আমাদের কাছে এলে আমরা বুঝিয়ে দিলে তারা বুঝতে পারেন।”
এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বিলে বড় ধরনের ব্যবধান (২ হাজার থেকে বেড়ে ৮ হাজার টাকা) হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিদ্যুতের খরচ বেশি হলে বিল হয় সে অনুযায়ী উঁচু স্ল্যাবে। তখন গ্রাহকের কাছে মনে হয় বিলটা বেশি চলে আসছে। আসলে বিলটা ঠিকই আছে।”
কোনো মাসে বিল কম করে পরের মাসে তা সমন্বয় করা হলে সেই বিল পরের ধাপে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ খরচাও বেড়ে যায়।
এমন ঘটনা ঘটছে কি না প্রশ্ন করলে ডিপিডিসি এমডি আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, “প্রি-পেইড মিটার নিয়েই বেশি অভিযোগ আসছে। এখানে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে একটু হেরফের হতে পারে।”
ডেসকোর নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) জাকির হোসেন বলেন, “গরমের মধ্যে একসঙ্গে গ্রাহকরা ফ্যান, এসি, এয়ারকুলার যা আছে- সব কিছু ইউজ করে। ব্যাপকভাবে ইউজ করাতে বিল বেশি হয়েছে। সেটা দেখে গ্রাহক অস্থির হয়ে গেছে।”
সর্বশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি খুচরায় সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়িয়ে বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়, যা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল ৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে এক বছরের ব্যবধানে ডিমান্ড চার্জ বেড়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।