আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের চতুর্থ ছেলে ওমর বিন লাদেনকে (৪৩) ফ্রান্স ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক মন্তব্যের জের ধরে তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার ফ্রান্সের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটেইলেউ বলেছেন, ফ্রান্স থেকে ওমর বিন লাদেনকে নিষিদ্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
এর আগেই তাকে নির্বাসিত করা হয়। তবে নির্বাসিত করার পর ওমর বিন লাদেনকে কোথায় পাঠানো হয়েছে সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানানো হয়নি। খবর-রয়টার্স
ব্রুনো রিটেইললেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, একজন ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী ওমর বিন লাদেন। সে হিসেবে নরম্যান্ডি অঞ্চলের ওরনি ডিপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। ২০২৩ সালে তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা করে মন্তব্য পোস্ট করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ফ্রান্স ছাড়ার আদেশ জারি করেন ওরনের প্রশাসনিক প্রধান। প্রশাসনিক আদেশ অনুযায়ী, ওমর বিন লাদেন আর কোনোভাবেই ফ্রান্সে ফিরে আসতে পারবেন না।
ওমর বিন লাদেন তার চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড় ব্রিটিশ নারী জেন ফেলিক্স ব্রাউনিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জেন তার নাম পাল্টে মুসলিম নাম জেইনা মোহাম্মেদ নেন। এরপর তারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে চাইলেও দেশটি তাদের আবেদন বাতিল করে দেয়।পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। সৌদি আরবের ধনকুবের পিতার সন্তান ওসামা বিন লাদেনের ২০ জনের বেশি সন্তান ছিল।