ভারত সোমবার তাদের কূটনীতিককে কানাডা থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে কানাডার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব এবং আরো পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে নয়াদিল্লি। এর আগে কানাডা রাষ্ট্রদূতসহ ভারতীয় কূটনীতিকদের ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ হিসেবে তদন্তের আওতায় এনেছে বলে জানায়, যার সূত্রপাত গত বছর এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ড থেকে।
২০২৩ সালে কানাডীয় নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের যুক্ত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে।তিনি বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ড শেষ হবার আগেই জামিনে মুক্তি দিয়ে বর্তমান সরকার শহীদদের রক্তের প্রতি সুবিচার করে নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মনে রাখা উচিত গণহত্যা, লুটপাট, ভোট ডাকাতি এবং জুলুমের পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা, বাস্তবায়নকারী এবং নীরব সমর্থনকারী প্রত্যেকেই অপরাধের ভাগীদার।
শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো। উচ্চশিক্ষায় আমাদের দেশ বৈশ্বিক সূচকে যোজন যোজন দূরত্বে পিছিয়ে আছে। গবেষণাখাতে অপ্রতুল বরাদ্দ আর শিক্ষক প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে আমরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছি না। বাংলা মাধ্যমের পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত, ধর্মীয় উসকানিমূলক এবং নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো মানসম্মত নয়। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
সাধারণ সভায় ছাত্র আন্দোলন-এনডিএমের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের সভাপতি আদনান সানি।
ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ফরিদের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী চৌধুরী রাকিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মাহিদুল ইসলাম জিহাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাহাতুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।