এদিকে পূর্বঘোষিত হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট এলাকা ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচিতে নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা শ্রেণির-পেশার মানুষও মিছিলে অংশ নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সমন্বয়কেরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ দফা দাবিগুলো হলো- আওয়ামীপন্থী ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে, সারাদেশে সুপ্রিম কোর্ট, জজ কোর্ট, দায়রা জজ আদালত থেকে আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীদের অপসারণ করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ওই সময় তারা ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগান দেন। ২০ থেকে ২৫ জন আইনজীবী ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়ার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রতিক্রিয়ায় ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে ফেসবুকে দেয়া পোস্টে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচির ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।