২০২৩ সালের বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ মোট ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল। অব্যাহতি পাওয়া অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক বিএনপি নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, নেতা নাসির উদ্দীন অসীম ও নিপুণ রায় চৌধুরী। ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, যখন বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়। একই দিনে আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ঘোষণা করে। উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। দিনভর সংঘর্ষে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুই দিন পর ৩১ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল আউয়াল। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে ২০২4 সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ জানায়। ফলে দীর্ঘ তদন্তের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ঘিরে বহুল আলোচিত এই মামলার অধ্যায় আপাতত সমাপ্ত হলো।