ইন বহির্ভূতভাবে অপসারণের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট করেছেন কাউন্সিলররা। সম্প্রতি এ দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ।
রিটের বিষয়ে জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, পুরোপুরি আইন বহির্ভূতভাবে আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী- তিনটি মাসিক সভা বা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে কোনো নিয়ম না মেনেই আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। আমরা আবার স্বপদে ফিরে জনসেবা করতে চাই।
এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ১২ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে পৃথক প্রজ্ঞাপনে দেশের ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়।
মূলত গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর স্থবির হয়ে পরেছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। বিশেষ করে বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর কেন্দ্রীক কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। মেয়র কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
কাউন্সিলররা না থাকায় টিসিবি পণ্য বিতরণেও নানা অনিয়ম হচ্ছে। আগে টিসিবি পণ্য বিতরণের জন্য কাউন্সিলররা ওয়ার্ডের সকল কার্ডধারী উপকারভোগীদের জানাতেন। বর্তমানে ওয়ার্ডের অনেক কার্ডধারী নাগরিক জানেন না কোনদিন টিসিবি পণ্য বিতরণ হচ্ছে।
অন্যদিকে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, লোকবলের সংকট থাকায় নানা কারণে নাগরিকসেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ওয়ার্ডের নাগরিকদের তথ্য যাচাই করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। পূর্বে তথ্য যাচাইকারী হিসেবে কাউন্সিলররা স্বাক্ষর করলেও এখন সেটি আঞ্চলিক নির্বাহীদের দ্বারা করানো হচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ১২ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে পৃথক প্রজ্ঞাপনে দেশের ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়। ১৯ আগস্ট এসব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছিল। তখন ১২টি সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এদিকে ৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের সদস্যদেরও অপসারণ করা হয়েছে।