এস আলম গ্রুপ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি, নাবিল গ্রুপের কর্ণধার আমিনুল ইসলামের বাবার কোম্পানির নামে গৃহীত বিনিয়োগও আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলে দেখানো হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এমন অপেশাদার আচরণের ফলে প্রকৃত বিনিয়োগ গ্রহীতাদের বিনিয়োগ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে দায়মুক্তি দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং আমাদের ব্যবসায়িক সুনাম ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিআইডি ও দুদক কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ- যেন সমন্বিতভাবে নিরীক্ষা করে সঠিকভাবে বিনিয়োগের পরিসংখ্যান জাতির সামনে পেশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এস আলম গ্রুপ আরো জানিয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কোনো পরিসংখ্যান ছাড়াই বিভিন্ন স্বনামধন্য গ্রুপের বিনিয়োগ আমাদের গ্রুপের নামে চালিয়ে দিয়েছেন যা অত্যন্ত অন্যায় এবং ব্যাংকের বিনিয়োগ আদায়কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে বলে আমাদের আশঙ্কা। আমরা দেখেছি নাবিল গ্রুপ, রংধনু গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, এননটেক্স গ্রুপ এবং আরও কিছু কোম্পানি এবং ব্যক্তির নামে গৃহীত বিনিয়োগ আমাদের বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে নাবিল গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ এবং অন্য কিছু কোম্পানি ও ব্যক্তি আমাদের ভোজ্যতেল, গম, চিনি, ঢেউটিন ও অন্যান্য পণ্যের ক্রেতা যাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছে যা আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলে কোনোভাবেই প্রমাণ করে না। এটি আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ হিসেবে অনেক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এবং গ্রুপের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালিত হয়ে থাকে। লেনদেন পরিচালিত হওয়া মানে আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এটা কোনোভাবে হতে পারে না। আলোচিত নাবিল গ্রুপের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক লেনদেন আছে সত্য, কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির নামে গৃহীত বিনিয়োগের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এসব কোম্পানির সঙ্গে আমাদের কোনো লেনদেনও নাই।
এস আলম গ্রুপ ১৯৮৯ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ দীর্ঘ সময় ব্যাংকের বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে আমাদের গ্রুপের যেমন অগ্রগতি হয়েছে তেমনি ব্যাংকও আমাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে। আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো বিনিয়োগ খেলাপি হয়নি। বিভিন্ন সময় ব্যবসায় ক্ষতি হলেও আমরা ব্যাংকের পাওনা যথাযথভাবে পরিশোধ করে এসেছি।