বেশিরভাগ সুগন্ধির সুবাস দুয়েক ঘণ্টার বেশি টেকে না। আরও সময়ে গেলে গন্ধের মাত্রাও কমতে থাক।
তবে এই সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায় পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ব্যবহারের মাধ্যমে।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়ো’তে অবস্থিত ‘মোনা ডার্মাটোলজি’র নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যালেক্সান্ড্রা বৌল বলেন, “এই ধারণা কার্যকর হওয়ার কারণ হল, ভ্যাসলিন একটি ‘অকুলসিভ’ উপাদান। মানে, এটা ত্বকে এক ধরনের সুরক্ষার আস্তর তৈরি করে আর্দ্রতা আটকে রাখতে সাহায্য করে।”
যখন সুগন্ধির নিচে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা হয় তখন সুবাস ত্বকে শুষে নেওয়া বা উবে যাওয়ার মাত্রা কমে যায়। সুগন্ধির অনুগুলো ত্বকের উপরিভাগে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকে- ব্যাখ্যা করেন এই চিকিৎসক।
বিষয়টা বোঝাতে নিউ ইয়র্ক সিটি’র জ্যেষ্ঠ সুগন্ধিকর ড্যারিল ডু বলেন, “পানি বা অ্যালকোহলের সাথে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ সুবাসের তেল মেশানো থাকে বেশিরভাগ সুগন্ধিতে। যখন পানি বা অ্যালকোহল উবে যায়, আর সেটা খুব তাড়াতাড়ি-ই যায়, তখন ত্বকে পড়ে থাকে শুধু সুগন্ধির তেলের স্তরটা, যা ক্রমেই ক্ষীণ হতে থাকে।”
“যেহেতু এই সুগন্ধি তেলের ক্ষমতা বা ঘনত্ব বাড়াতে পারছেন না সেহেতু একটা উপায় হল ত্বক থেকে উবে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা ধীর করা। আর ভ্যাসলিনের সাথে সুগন্ধি মেশালে ত্বকে সুগন্ধির স্থায়িত্বের মাত্রা অবশ্যই বাড়বে।”
কারণ এর ফলে ত্বকে পানীরোধী সুরক্ষক তৈরি হয়। ফলে খুব বেশি ঘাম না হলে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ভ্যাসলিনের সাথে সুগন্ধি ব্যবহারের পন্থা
কয়েক ঘণ্টা বেশি দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব ভ্যাসলিনের সাথে সুগন্ধ মিশিয়ে।
ডা. বৌল বলেন, “পাল্স’ বা নাড়ী যেখানে আছে, যেমন- কবজি, ঘাড়ের পাশে এবং কনুইয়ের ভাঁজে পাতলা করে ভ্যাসলিন লাগান। এর ওপর সুগন্ধি স্প্রে করুন। দেহের এসব জায়গা বেশি উষ্ণ থাকে। যা গন্ধ ছড়াতে সাহায্য করে। আর অকুলসিভ উপাদান হওয়ার কারণে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন মাখার পরপরই এর ওপরে সুগন্ধি ছিটালে ভালো পরিমাণ সুবাস ত্বকে লেগে থাকবে অনেকক্ষণ।”
“ভ্যাসলিনের আঠালোভাব পছন্দ না হলে লোশনও একইভাবে কাজ করবে। তবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি বেশি কার্যকর, ত্বকে আস্তর তৈরি করে সুগন্ধ উবে যাওয়া ও ত্বকে শুষে নেওয়ার মাত্রা কমায়”- বলেন তিনি।