ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে জোর জবরদস্তি করে বলি না যে, ছাত্রশিবির করতেই হবে। সবাই দলে দলে এসে শিবিরে যোগ দেবে এমনটাও আমরা চাই না। আমরা চাই, একজন মানুষ হিসেবে আপনারা নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও ইসলামি মূল্যবোধে গড়ে উঠবেন।
শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটক থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এজে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত চবি শাখা ছাত্রশিবিরের ‘নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একযুগ পর প্রকাশ্যে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে চবি ছাত্রশিবির। এতে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানতে পারেনি। দেশব্যাপী এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি ছিল।
কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি বলেন, বর্তমানে ছাত্র জনতার বিপ্লবের সময়কার খুনিদের অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে তাদের পদে বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে বাদ দেওয়া ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সব আবর্জনা দূর করে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
চবি শিবির সভাপতি বলেন, আমরা এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো। শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনকে ২৪ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই। আগামীর ক্যাম্পাস হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত।
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের শিক্ষা ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় চবি শিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
চবি শিবির সভাপতি নাহিদুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী।
বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন চবির ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক ডা. ওসামা রায়হান।
নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি টিশার্ট ও ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে দুর্নিবার শিল্পীগোষ্ঠী।