এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে ফের ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তারা শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা প্রধান ফটকে এসে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দুপুর ২টার দিকে শিক্ষাবোর্ডের মূলগেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা। প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তারা।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর টাউন হল মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোর্ডের দিকে রওনা হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ঘোষিত ফল বাতিল করে এসএসসির ফলাফল অনুযায়ী সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানায়। এরপর তারা দুপুর ২টার দিকে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তাদের ভেতরে রেখে মূলগেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত গেটে তালা লাগিয়ে রাখার পর তালা খুলে দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নিয়ে টালবাহানা করছেন। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণাও দেয় তারা।
এর আগে সোমবার শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যযুক্ত ফলাফল বাতিল ঘোষণা এবং দেশের সব বোর্ডের সঙ্গে সমভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং নিয়ে আলোচনা করে এসএসসির ফলাফল থেকে আবার সব বিষয়ের ফলাফলের তালিকা তৈরির দাবি তুলে ধরা হয়। এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেদিনও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা দিনভর অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজযোগিতায় বোর্ড ত্যাগ করেন কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে সেদিন স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোডের্র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের বলেন, দাবিগুলো জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওপর থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।